রমেশ পাথিরানা বলেন, তারা আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ইরানে চা পাঠানো শুরু করতে চান তারা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডলারের চা পাঠানো হবে। তবে, এভাবে চললে চার বছর ধরে ঝুলে থাকা লেনদেন পুরোপুরি মেটাতে আরও চার বছরের বেশি সময় লাগবে দেশটির। প্রস্তাবিত স্কিমটি শ্রীলঙ্কার অতি প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কারণ ইরানের কাছে সেইলন চা বিক্রি শ্রীলঙ্কান রুপিতে সেটেলমেন্ট করা হবে। তবে দেশটির প্রধান বৃক্ষরোপণকারী সমিতির এক মুখপাত্র বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ একটি অস্থায়ী সমাধান মাত্র। এটি রপ্তানিকারকদের তেমন কোনো উপকার করবে না।
২০২২ সালে প্রায় ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে, যার মধ্যে জানুয়ারিতেই রয়েছে আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ডের ৫০ কোটি ডলার। এদিকে গত নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত দেশটির হাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ১৬০ কোটি ডলার।
শ্রীলঙ্কায় প্রতি বছর ৩৪ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়। গত বছরও দেশটি প্রায় ২৬ কোটি ৫৫ লাখ কেজি চা রপ্তানি করেছে, এ থেকে দেশটির আয় হয়েছে অন্তত ১২৪ কোটি ডলার।
বিএসডি/এসএস