বরগুনা প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৭৬ জন এবং নিখোঁজন রয়েছেন অনেকেই।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরগুনার নৌবন্দরে অপেক্ষা করেও অনেক যাত্রীর খোঁজ পাননি স্বজনরা।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ইতোমধ্যে বরগুনার ১৯ জন নিখোঁজের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বরগুনার মাইঠা এলাকার ইদ্রিস খান, নলী এলাকার আবদুল হাকিম, চাঁদপুরের মনোয়ারা, পাথরঘাটার টেংরার পপি আক্তার, পাথরঘাটা পৌরসভার তালতলা এলাকার আবদুর রাজ্জাক, পাথরঘাটার কালমেঘার কালিবাড়ি এলাকার রাকিব মিয়া, বরগুনা সদরের হাফেজ তুহিনের মেয়ে (নাম অজ্ঞাত), সদরের ছোট আমতলী এলাকার জয়নব বেগম, মির্জাগঞ্জ উপজেলার রিনা বেগম ও তার মেয়ে রিমা, বরগুনা সদরের পরীরখাল এলাকার রাজিয়া ও তার মেয়ে নুসরাত, সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মইন, তার ছেলে আবদুল্লাহ ও শালি আছিয়া, বরগুনা ঢলুয়া এলাকার মোল্লারহোড়া গ্রামের তাসলিমা, তার মেয়ে মিম ও তানিশা এবং ছেলে জুনায়দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিএসডি/ এলএল