নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ এ আগুনে পুড়ে নিহত যমজ বোনের লাশ বুঝে নিয়েছেন তাদের মামা। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তাদের মা।
শনিবার সকালে নিহতদের মামার কাছে ওই দুই যমজ শিশুর লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহত সামিয়া (৪) ও লামিয়া (৪) বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলো।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানী দুলু বেগমের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দাদাবাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল যমজ বোন সামিয়া ও লামিয়া। বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। এরপর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সামিয়া এবং লামিয়া। তাদের নানি দুলু বেগম গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত শিশুদের মা শিমু আক্তার এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রীকে খুঁজতে বরিশালে আছেন।
উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ। এ ঘটনায় ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন শতাধিক; নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। এনিয়ে সাতটি লাশ হস্তান্তর করা হলো স্বজনদের কাছে। বাকি ৩০ লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালে কফিনে রাখা হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল