নিজস্ব প্রতিবেদক:
সব চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে- এমন দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় তিনি একথা বলেন।
মালদ্বীপে প্রবাসীদের আত্মবিশ্বাসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ও খুনিরা সবসময় তৎপর আছে, তৎপর থাকবে। তাদের ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে, কিন্তু ওই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আর এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। কাজেই একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলবেন।’
প্রবাসীদের কল্যাণ করা তার সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন তার সমাধানে তার সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইস্কান্ধার স্কুল অডিটোরিয়ামে, মালে চাঁদনী মাগুতে সমবেত হন। প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে তার আবাসস্থল থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীরা আপনাদের (মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি) সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। তার সমস্যার সমাধানে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে।’
এখানে আকস্মিক এসে পড়ায় যারা এখনো বৈধতা পাননি সে বিষয়ে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে তার সরকারের এমওইউ স্বাক্ষরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সরাসরি মালদ্বীপের মুদ্রায় যাতে দেশে পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি নেবেন, যাতে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে না হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে এখানকার প্রবাসীরা যাতে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থা তার সরকার করে দেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানকার বিভিন্ন দ্বীপের অভিবাসীরা যাতে বির্বিঘ্নে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন- সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আমি বলব, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাটা করে দেবে, যাতে ডলার কিনে আবার বাংলাদেশে পাঠানোতে যে লোকসানটা হয়, সেটা বন্ধ হয়।
দেশে রেমিটেন্স পাঠানোদের জন্য সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে টাকা আপনারা পাঠান তার থেকেও বেশি টাকা কিন্তু সরাসরি আপনার পরিবার পেয়ে থাকে।
মালদ্বীপের সঙ্গে কানেকটিভির উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে সরকারের আসার পরই তার সরকার বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয় এবং বেসরকারি খাতে বিমান পরিচালনারও সুযোগ সৃষ্টি করে। যে কারণে আজকে একটি বেসরকারি খাতের বিমান মালদ্বীপে আসা শুরু করেছে। সরকারি বিমানে আমরা মালদ্বীপে যাতায়াতের একটা ব্যবস্থা করব, সেলক্ষ্য আমাদের রয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযোগ জোরদারে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমান ভারতের চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ চালু করার বিষয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএসডি/এসএফ