বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও সূচক কমার মধ্যদিয়ে ডিসেম্বর মাসে আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এই সপ্তাহে (১৯-২৩ ডিসেম্বর) একদিন সূচকের উত্থান হয়। আর বাকি চারদিন সূচকের পতন হয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৫৪৬ পয়েন্ট।
উভয় বাজারে সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি উধাও হয়েছে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ২৯৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭০২ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৮ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে আর ডিএসই-৩০ সূচক ৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৫১১ পয়েন্টে।
তিনটি সূচকেরই দাম কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪৭ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৯০ কোটি ৭৯ লাখ ২৯ হাজার ৫৮১ টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের শেষে বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১২ হাজার ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার পুঁজি হারিয়েছেন।
পুঁজি কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮১ কোটি টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার ৪৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৬ টাকা।
বিদায়ী এই সপ্তাহে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২৫৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টি কোম্পানির।
তাতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে সূচক ছিল ২০ হাজার ৭৫ পয়েন্ট। সবমিলিয়ে সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৭ টাকার।
বিএসডি/এসএফ