তবে মুঠোফোনে ওই নারীর স্বামী বলেন, ঘটনার (২২ ডিসেম্বর রাতে) পর থেকে তাঁদের তিনজনের গোসল হয়নি। ঠিকমতো ঘুম ও খাওয়াদাওয়া হচ্ছে না। কোলের শিশুটা অসুস্থ। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাঁদের ছাড়া হচ্ছে না। তবে এ কথাও সত্যি, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী আশিকের শক্তিশালী বাহিনী আছে শহরে। সে দিক বিবেচনা করে তাঁরাও এখানে থেকে যেতে রাজি হয়েছেন। ‘কিন্তু এভাবে কত দিন! আমরা বাড়ি ফিরতে চাই,’ ওই নারীর স্বামীর কণ্ঠে আকুতি।
২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নামেন ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জের ধরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যান আশিক। প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে, পরে কলাতলীর একটি হোটেলে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
বিএসডি/ এলএল