ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলার ১৬ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন; বাকিরা পলাতক।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন জহিরুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে নিজ গ্রাম পয়াগের বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে আসামি বসু মিয়া, হাবিবুর রহমান, শহিবুর রহমান, কবির মিয়া, সাচ্চু মিয়া, মোখলেছ মিয়া, রুহান ওরফে বোরহান, শিথীল আহমেদ, রহমত উল্লাহসহ অন্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন।
দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসামিরা জহিরুলকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটকে দেন। এ সময় জহিরুলকে আসামিরা কুপিয়ে জখম করেন। একই সঙ্গে সিএনজিচালক গোলাপ মিয়াকেও আঘাত করেন। রাতে জহিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিএসডি/ এলএল