রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৬ হাজার ৩১৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হারের সূচকে তৃতীয় অবস্থান থেকে বগুড়া জেলা এক ধাপ এগিয়ে এবার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। এই জেলা থেকে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৩৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৩ হাজার ৭৭২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। পাসের হারের সূচকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। ১৮ হাজার ৮৯৫ জন ছেলের মধ্যে ১৭ হাজার ৯৭৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ছেলেদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ হাজার ৪৭৯ জন। পাস করেছে ১৫ হাজার ৭৯৫ জন। মেয়েদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
জেলায় সেরা পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
জেলায় বরাবর সেরা অবস্থানে থাকা বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার শতভাগ পাসের হারের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়েছে। সেই তুলনায় ভালো করেছে বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এ বছর বগুড়া জিলা স্কুলের ২৩৬ জনের মধ্যে ২৩৫ জন পাস করেছে। অনুত্তীর্ণ হয়েছে একজন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩২ জন।
বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৫৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে দুজন। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ৩৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়া অনুত্তীর্ণ হয়েছে একজন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত বছর শতভাগ পাসের হারের অবস্থান থেকে ছিটকে পড়া বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবার হারানো সুনাম পুনরুদ্ধার করেছে। এবার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৩ জন।
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ২৪৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৪৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২১ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বগুড়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফী বলেন, জীববিজ্ঞান বিষয়ে একজন পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে। তাই শতভাগ পাসের হার থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে। তবে ওই একজনের ফল পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হবে।
সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন বলেন, দুজন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এ দুজন কী কারণে অকৃতকার্য হলো, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
বিএসডি/ এলএল