নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো পার্টি করা যাবে না। আগামীকাল সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সকল বার বন্ধ থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার থার্টিফার্স্টের নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপির ব্রিফিংয়ে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঘরে বসে বর্ষবরণের উৎসব পালন করতে হবে। উৎসব আয়োজনে আতশবাজির ব্যবহার করা যাবে না। হোটেলে থার্টিফার্স্টের আয়োজনে দেশীয় সংস্কৃতির সাথে যায় না এমন কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ডিজে পার্টি করা যাবে না।
ডিএমপির নির্দেশনা হলো
১. ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত-সমাবেশ-উৎসব করা যাবে না।
২. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৩. কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাত ১০টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকার প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
৬. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলি ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৭. একইভাবে উপযুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।
৮. হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনো সমাবেশ অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে, অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
৯. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
১০. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।
১১. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
১২. ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপর্যুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয়।
বিএসডি/ এলএল