রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী তাঁদের অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে কর্মচারীদের হাতে মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার রসিদ চাওয়ায় মারধর করা হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। গতকাল শুক্রবার রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারপিটের শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ ও তাঁর ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম।
বিজ্ঞাপন
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী হাসপাতালে যান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাতেই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সবাই এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল করিমের ভাষ্য, মায়ের চিকিৎসার জন্য ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। জরুরি বিভাগে ভর্তির ৩০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা নেওয়া হলে সেই অতিরিক্ত টাকার রসিদ চান তাঁরা। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ছোট ভাই রাশেদ করিম মুঠোফোন দিয়ে ছবি তুললে তাঁকেও মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে ফেরত দেওয়া হয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরপরই আমি হাসপাতালে যাই। ওই শিক্ষার্থীর মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিই। তাদেরও হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাটি আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি জানার পরপরই হাসপাতালের পরিচালককে ফোনে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি।’
হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।