নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে জয়ী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থককে হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে জয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।
গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের সাজালেরকান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম নয়ন মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মারুবদী গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নয়ন মিয়ার স্ত্রী মানছুরা আক্তার জানান, ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন ও ফিরোজ মিয়া। তার স্বামী নয়ন মিয়া ফিরোজ মিয়ার পক্ষে নির্বাচন করেন। নির্বাচনের আগেই তার স্বামীকে দেলোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকরা তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন জয়ী হওয়ার পরই তার স্বামী তাদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মারুবদী আসার উদ্দেশে বাসা থেকে বের আর ফেরেনি। রাতভর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে সকালে সাজালেরকান্দি রাস্তার পাশে তার লাশ দেখতে পাই এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দাবি জানান তিনি। নিহত নয়ন মিয়ার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও লোকজন জড়ো হয়। সেখানে দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত হলে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসী। পরে দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসী।
নয়ন মিয়ার ভাই ওমর ফারুক জানান, দেলোয়ার হোসেন ইউপি সদস্য জয়ী হওয়ার পরই বিভিন্ন মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমার ভাইকেও তার পক্ষে নির্বাচন না করার কারণে কয়েকবার হুমকি দেন। শুক্রবার তার ভাই ভাড়া বাসা থেকে চাল নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পরে সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধোর করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দাবি করে স্থানীয়রা ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তদন্ত চলছে।
বিএসডি/ এলএল