নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ২১ ঘণ্টার ব্যবধানে জসিম বিশ্বাস (৩৫) নামে আরও এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মিলন (৩২) নামে আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত জসিম ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আর আহত মিলন একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তারা দুজনই নৌকা প্রতীকের সমর্থক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচনী সহিংসতায় একই ইউনিয়নের হারান বিশ্বাস (৬০) নামে এ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আজ বিকেলে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ওই এলাকা ত্যাগ করার পরপরই জসিম বিশ্বাসকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হারান বিশ্বাস নামে একজন নিহত হন। তিনি নৌকার সমর্থক ছিলেন। এ খুনের ২১ ঘণ্টা যেতে না যেতেই প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন নৌকার আরেক সমর্থক জসিম বিশ্বাস।
নিহত জসিমের ভাই মুক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, তার ভাই জসিম ও মিলন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকরা তার ভাইদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জসিম বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জসিম ও আহত মিলন তার দলের সমর্থক।
এ বিষয়ে কথা বলতে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভাটবাড়িয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে জসিম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলাকারীদের একজনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। দিনে কিংবা রাতে কোনো পুরুষ গ্রামে থাকছে না। এ কারণে গ্রামবাসীকে সতর্ক করারও অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
বিএসডি/এসএ