নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। রোববার (২ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন মেঘে ঢেকে আছে সমস্ত অঞ্চল। এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। সেই সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল ঠান্ডা হাওয়া।
রোববার জেলার রাজারহাট আবহওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে জানা গেছে, আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা একটু বেশি। তবে আকাশের মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রুপ নিতে পারে।
ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে শহর ও গ্রামীণ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে এসব এলাকার শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলতিপাড়া গ্রামের সাহেব আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে প্রচুর ঠান্ডা শুরু হয়েছে। এই ঠান্ডায় আলুখেতে কাজ করতে যাইতে হচ্ছে। কাজের সময় দু-হাত কাজ করে না। যদি রোদ উঠে তাহলেও ঠান্ডা কম মনে হয় না।’
সদরের হলোখানা ইউনিয়নের মাস্টারের হাট এলাকার আজিজ মিয়া বলেন, যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমাদের কাজ করতে হয়। একদিন কাজ না করলে যে সংসার চলে না।
জেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার ৫০০ কম্বল ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ রয়েছে। মেঘ কেটে গেলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বিএসডি/এসএ