টেকনাফের দেখা যাওয়া পোকা তেমন ক্ষতিকর নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পোকা মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল-জাতীয় কোনো পোকা নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ঘাসফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন। অতিসম্প্রতি ঘাসফড়িং সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে।
মন্ত্রণালয় বলছে, আজ সকালেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) থেকেও পৃথক পৃথক টিম রওনা দিচ্ছে। ঘাসফড়িং-সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় এই পোকার শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে এই টিম কাজ করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক আজ শুক্রবার জানান, গতকাল শুক্রবার কীটনাশক প্রয়োগ করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মারা যায়। সেখানে আর কোনো জীবিত পোকা নেই বলেও তিনি জানান। হাওরের ৭৭ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে:
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে ইতিমধ্যে হাওরের প্রায় ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। পাকা অবস্থায় রয়েছে ১০ শতাংশ এবং এখনো পাকেনি ১৩ শতাংশ বোরো ধান। এ ছাড়া সারা দেশে ১৬ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে।