নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার ফাঁসির আসামি নূর হোসেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, গত বুধবার কারাগারের কনডেম সেল থেকে নূর হোসেনের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন কনডেম সেলে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এর সত্যতা যাচাইয়ে গত বুধবার তার কনডেম সেলে অভিযান চালালিয়ে একটি মিনি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনসহ ৩ জন বন্দি রয়েছেন। কারাগারে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে তার বিরুদ্ধে কারাবিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
কীভাবে কারাগারের ভেতরে মোবাইল আনা হয়েছে সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে যোগ করেন তিনি।
এ ঘটনা তদন্তে গত বৃহস্পতিবার কারাগারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক উম্মে সালমাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন নূর হোসেনের ছোট ভাই নূর উদ্দিন এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার ভাতিজা শাহ জালাল বাদল। তাদের দুজনেরই প্রতীক ঠেলাগাড়ি।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের ৩ দিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যায় চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন।
বিএসডি/ এলএল