হইচই বাংলাদেশের বিজনেস লিড সাকিব আর খান বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে চূড়ান্ত করেছি। আশা করছি গল্প লেখা ও শুটিং শেষে বছরের দ্বিতীয় ভাগের যেকোনো সময়ে মুক্তি দিতে পারব।’ তিনি আরও জানান, এ বছর মুক্তি পাবে এমন ছয়টি সিরিজের তালিকায় আছে ‘মহানগর ২’, ‘সাবরিনা’, সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’, তানিম নূরের ‘কাইজার’, অমিতাভ রেজার ‘বোধ’ এবং রায়হান খানের সিরিজ ‘দৌড়’। এরই মধ্যে ‘দৌড়’-এর শুটিং শুরু হয়েছে। ‘কাইজার’, ‘কারাগার’ ও ‘বোধ’ও শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত। শিগগিরই সিরিজগুলোর শুটিং শুরু হবে।
নতুন ওয়েব সিরিজের ঘোষণা এলেও সেদিনের অনুষ্ঠানে বারবারই আসে ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পটভূমিকায় তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’। শহরের অভিজাত বৃত্তের এক রাতের পার্টি থেকে ঘটনা শুরু হয়। শিল্পপতি-রাজনীতিবিদ আলমগির চৌধুরীর বদমেজাজি ছেলে আফনান চৌধুরী কোনো কিছুতে হার মানতে চান না। এমনকি তাস খেলায় হেরেও তাঁর মেজাজ বিগড়ে যায়। দেখা যায়, নিজের বান্ধবীকে তুচ্ছ করে পার্টি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর বেসামাল আফনানের গাড়িতে চাপা পড়েন একজন সাধারণ মানুষ। পুলিশ তাঁকে থানায় ধরে নিয়ে এলে চারদিকে হইচই পড়ে যায়। আলমগির চৌধুরী যেকোনো মূল্যে ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য প্রতিনিধি পাঠান থানায়।
ওসি বড় অঙ্কের টাকা ঘুষ নেন। আফনানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। অপর দিকে সাব ইন্সপেক্টর মলয় ছুটে বেড়ান সত্যের সন্ধানে। সারা রাত এই সব নিয়ে থানায় জমজমাট নাটক। শেষে চমক, আফনানকে পুলিশ শেষ পর্যন্ত ছাড়ে না। নিয়ে যায় আদালতে। ঘুষ নেওয়ার দায়ে ওসি হারুন গ্রেপ্তার হন। এর মাঝেই আবিষ্কার হয় আফনানের অন্য অপরাধ। রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টের থেকেও বড় অন্যায় তিনি করে এসেছিলেন পার্টিতে। অনেকটা রহস্য রেখেই শেষ হয় ‘মহানগর’।
তাহলে দ্বিতীয় সিজনও কি পুলিশি থ্রিলার হবে? নাকি নতুন কোনো প্রেক্ষাপটে গল্প বাছাই করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব আর খান বলেন, ‘গল্পের মূল চরিত্র যেহেতু ওসি হারুন, অবশ্যই পুলিশের গল্প থাকবে। তবে এবারের গল্পটি আগেরটির চেয়ে অনেকটাই আলাদা হবে।’
বিএসডি/ এলএল