ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের উইকেট মূল মাঠ থেকে আলাদা করা কঠিন। এমন ঘাসে বাড়তি সুবিধা পান পেসাররা। টস ভাগ্য হেসেছিল বাংলাদেশের হয়েই। তবে সকালের ফায়দা নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনরা। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথামের কাছে সকল শ্রম পণ্ড হয় বোলারদের। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও দাপট ধরে রাখে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এতে আরো একটি হতাশার সেশন কাটল বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় সেশন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২০২ রান। কিউই দলপতি লাথাম ১১৮ এবং ডেভন কনওয়ে ২৮ রান নিয়ে তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা শুরু করবেন। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সাফল্যটি এসেছে পেসার শরিফুল ইসলামের হাত ধরে।
কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯২ রানের সংগ্রহ নিয়ে লাথাম ৬৬ এবং উইল ইয়ং ২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন। প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন লাথাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অর্ধশতক তুলে নেন ইয়ং। দুজনের উদ্বোধনেজুটি শতক ছাপিয়ে দেড়শ রানের দিনে ছুটতে থাকে, তখন সফরকারী শিবিরে স্বস্তি ফেরান শরিফুল।
ইয়ংকে পয়েন্টে অভিষিক্ত নাঈম শেখের হাতে তালুবন্দি করিয়ে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। ১১৪ বলে ৫৪ রান করে ডানহাতি ওপেনার আউট হন। শরিফুলের লাফিয়ে উঠা পয়েন্ট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন ইয়ং। টাইমিংয়ে গড়বড় করায় বল যায় সোজা নাঈমের হাতে।
ইয়ং ফিরে গেলেও টলানো যায়নি লাথামকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য লাথাম প্রথম টেস্টে রান না পাওয়ার আক্ষেপ ঘোচাচ্ছেন এই টেস্টে। মাত্র ১৩৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের বল অন সাইডে পাঠিয়ে ৯৯ থেকে শতরানে পৌঁছান লাথাম। এতে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩৩ বলে ১৭ চারে সাজান সেঞ্চুরির ইনিংসটি।
দ্বিতীয় উইকেটে লাথামের সঙ্গে জুটি গড়েছেন ডেভন কনওয়েতে। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে দুজনের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ থেকে এসেছে ৫৪ রান। দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভার ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১১০ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। এতে ১ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ করে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০২/১ (৫৪ ওভার)
লাথাম ১১৮*, ইয়ং ৫৪, কনওয়ে ২৮*; শরিফুল ১/৩০
বিএসডি/এসএ