নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাল মসজিদ নামে পরিচিত কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ আবদুল লতিফ আল ফোজান পুরস্কার অর্জন করেছে।
সারা বিশ্ব থেকে সাতটি মসজিদকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বরের লাল মসজিদ অন্যতম। আলমদিনা আলমনোয়ারাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাওয়ার্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনা রিজিওনের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান। তিন মহাদেশ থেকে ৪৩ দেশের মোট ২০১টি মসজিদ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ২৭টি মসজিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদকে (লাল মসজিদ) এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিনেই লাল মসজিদটির পাশের পুরাতন মসজিদটি ‘ইউনেস্কো এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাওয়ার্ড-২০২১ সাইকেল ফর কালচারাল হেরিটেজ কনজারভেশন’ পুরস্কার অর্জন করে। আর পুরনো মসজিদটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদ ‘দ্য অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ পুরস্কার পান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পূর্ব পুরুষদের হাত ধরে ১৮৬৮ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিত অংশ নির্মাণ করেন নসরুল হামিদের বাবা অধ্যাপক হামিদুর রহমান। পুরনো মসজিদের পাশেই নির্মাণ করা হয় আধুনিক একটি মসজিদ যা লাল মসজিদ নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, এ মসজিদটিতে সূর্যের আলো অধিক ব্যবহৃত হয় এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। স্থপতি কাশেফ চৌধুরীকে লাল মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুসলিম বিশ্বে অনন্য মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নান্দনিক নিদর্শন হিসেবে বিজয়ী হয়েছে লাল মসজিদ। মসজিদটি সংস্কার করে পুরনো রূপ ঠিক রেখে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিএসডি/আইপি