আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সন্দেহভাজন গরু চোরাকারবারীদের সঙ্গে ভারতের পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাকারবারীদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গরু চোরাকারবারী সন্দেহে দু’জন পুরুষ ও চার নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৪টি গরু জব্দ করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এর আগে, শনিবার একই ধরনের এক ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে সন্দেহভাজন ৩০-৪০ জন গরু চোরাকারবারীর সংঘর্ষ হয়। এতে বাংলাদেশি এক নাগরিক নিহত হন।
কোচবিহার জেলার সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের গোপন তথ্য পাওয়ার পুলিশের একটি দল উচলপুকুরি গ্রামে যায়। এ সময় একদল ব্যক্তি পুলিশের ওই দলের ওপর হামলা চালায়।
পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মেখলিগঞ্জ সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার পরও পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে ৩৪টি গরু উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তেজনা প্রশমনে মেখলিগঞ্জের ওই সীমান্ত এলাকায় পুলিশের বিশাল ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা দিলিপ ঘোষ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারির এখতিয়ার সম্প্রসারণে রাজ্য সরকারের আপত্তির তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত কতটা অনিরাপদ তা এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের নজরদারির এখতিয়ার ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়াতে কেন্দ্রের নেওয়া সিদ্ধান্তে যারা বারবার বিরোধিতা করেছে তাদের কী বলার আছে আমি তা জানতে চাই। আমাদের সীমান্ত অনিরাপদ।
এর আগে, শনিবার ভোরের দিকে পশ্চিমবঙ্গের পান্নাপুর সীমান্ত তল্লাশি এলাকার কাছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সন্দেহভাজন গরু চোরাকারবারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে মকবুল হুসাইন (২৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হন এবং দু’টি গরু উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিএসডি/এসএ