নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিটি ভোটের মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’-এ শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে।
ইসি’র আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহীনুর আক্তার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে নারায়ণগঞ্জের প্রথম আদালতের ‘যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং নারায়ণগঞ্জের ‘জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’ এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন ও বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে। এবং এ ধরনের কোনো মামলা দায়ের করা হলে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশ আশি দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে ওই ব্যক্তি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন। এ ধরনের কোনো আপিল দায়ের করা হলে নির্বাান আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের হওয়ার তারিখ থেকে একশ বিশ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিএসডি/এসএ