বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমার বারবার একটা কথা মনে হয়—এই দেশ সম্ভবত আওয়ামী লীগ চালাচ্ছে না, হতে পারে আমি ভুল বলছি—তবে আমার বারবার এই কথাটা মনে হয়। আমি বিশ্বাস করি এই দেশ আওয়ামী লীগ চালায় না—একটা পুতুল সরকার এই দেশে বসে আছে।
তিনি বলেন, কারও নির্দেশ মতো, কোনো গোষ্ঠী, কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো সংস্থা ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের গাঁ বাঁচানোর জন্য আওয়ামী লীগ নামক পুতুলটিকে বসিয়ে রেখেছে। এমন কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগের ব্যক্তি নেই যারা চুরি ডাকাতি লুট করেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাদের বিচার হবে। পিকে হালদারের মতো বহু বেসরকারি ও সরকারি কর্মচারীরা বাংলাদেশের টাকা লুট করেছেন। যারা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করছেন তাদেরও বিচার হবে। এত খুন, এত লুট, এত গুম—এটারও বিচার হবে। সেই সমস্ত বিচারের ভয়ে হয়তো একটা গোষ্ঠী এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে।
নিপুণ রায়ের অপরাধ কী প্রশ্ন করে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে বাংলাদেশে যারা সত্যিকারের অপরাধী তারা মুক্তি পাচ্ছে। তার অপরাধ টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর ব্যাখ্যা আমাদের আলাল সাহেব দিয়েছেন যে, গলার আওয়াজ কীভাবে চেঞ্জ করা যায়। সেজন্য একটা মেয়েকে মাসের পর মাস জেলে আটকে থাকতে হবে? এদেশে কোনো আইন-কানুন আছে বলে আমার মনে হয় না।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমাদের নেত্রী তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেননি। এই দেশের লাখো কোটি মানুষের ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আজকে তিনি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। তার কোথাও চিকিৎসা হচ্ছে না। আমরা চিকিৎসার কথা বলেছি, বিদেশে নেওয়ার কথা বলেছি, আমরা অনুরোধ করেছি, কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। খালেদা জিয়াকে তারা চিকিৎসা করতে দেবে না। আমি আজকেও এই সভা থেকে বলতে চাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন, তারেক রহমানকে অবিলম্বে দেশে আসার সুযোগ দিন, নিপুণ রায়ের মুক্তি দিন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। দেশের মানুষ অত্যাচারিত হয়ে আছে। এই দেশের মানুষ গুমরে গুমরে কাঁদছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা যাবে না। একদিন বাংলার মানুষ রাস্তায় নামবে, আর এই সরকারের তকতে তাউস ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। নিপুণ রায়ের মতো হাজারো লাখো কর্মী মুক্তি পাবে।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সিনিয়র সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।