চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,সাভার থানায় করা চিত্রনায়িকা পরীমনির ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এই মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে চিত্রনায়িকা পরীমনি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপরে প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও আমিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
গত রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন,তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।
পরে রাতে পরীমনি বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে নাসির ইউ মাহমুদ হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।
চিত্রনায়িকা পরীমনির অভিযোগ, ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি; বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনায় মারাত্মক ভেঙে পড়েছেন পরীমনি।