লাইফস্টাইল ডেস্ক
আপনি মুখে না বলেও চোখের মাধ্যমে অনেক কথা বলে ফেলতে পারেন। মানুষকে আকর্ষণ করারও অন্যতম অস্ত্র হলো এই চোখ। সুন্দর চোখ নিয়ে গান, কবিতা কম লেখা হয়নি। আবার এই চোখে কোনো সমস্যা হলে আমাদের পৃথিবীটাই হয়ে যায় ধূসর। চোখের নিচের কালি কিংবা ফোলাভাব আপনার মুখের সৌন্দর্য কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
চোখের নিচে ফুলে যেতে পারে অনেকগুলো কারণে। ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের চোখের নিচে ফুলে থাকে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে কারণ ছাড়াই এই ফোলাভাব দেখা যায়। কিন্তু এটি দেখতে একদমই ভালোলাগে না। এটি কখনো কখনো হতে পারে অসুখেরও লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে মুক্তি পাওয়া সম্ভব চোখের ফোলাভাব থেকে। সেসব অভ্যাস মেনে চলা উচিত আমাদের জীবনযাপনে। এতে চোখের নিচের ফোলাভাব ধীরে ধীরে কমে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কে সেই অভ্যাসগুলো-
কাঁচা লবণ খাওয়া কমান
আপনি কি খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকেন? এই অভ্যাসই হতে পারে আপনার বিপদের কারণ। এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়াতে পারে। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস হতে পারে চোখের নিচের ফোলাভাবেরও কারণ। তাই আজ থেকে কাঁচা লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। সম্ভব হলে একেবারেই বাদ দিন। এতে এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
ধূমপান বাদ দিন
যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তারা এর ক্ষতিকর দিকগুলো জেনেই এই অভ্যাস গড়েন। কিন্তু দিনশেষে এটি আপনার ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করে না। তবে ধূমপানের অভ্যাস একবার হলে সেটি হুট করে পুরোপুরি ছাড়া সম্ভব হয় না। তাই প্রথমে এই অভ্যাস আয়ত্বে আনুন। এরপর ধীরে ধীরে একেবারে বাদ দিয়ে দিন। এতে চোখের নিচের ফোলাভাব কমবে অনেকটাই।
বাদ দিন মদ্যপান
মদ্যপান করা ধূমপানের থেকেও মারাত্মক। এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গের জন্য সরাসরি ক্ষতি ডেকে আনে। যারা মদ্যপান করেন তাদের চোখের নিচে অনেকটা ফুলে থাকে। এই অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন। এতে চোখের ফোলাভাব তো দূর হবেই, মুক্তি পাবেন অনেক ধরনের অসুখ থেকেও।
অ্যালার্জিমুক্ত থাকুন
যেসব খাবারে বা অভ্যাসে আপনার অ্যালার্জি বা চুলকানি হয়, সেগুলো বাদ দিন বা এড়িয়ে চলুন। অ্যালার্জিও হতে পারে চোখের ফোলাভাবের অন্যতম কারণ। এই সমস্যা যদি বাড়তে দেন তবে চোখের ফোলাভাবও বেড়ে যাবে। অ্যাকজিমা থাকলে সেই সমস্যাও যত দ্রুত সম্ভব দূর করবেন।
চোখে যখন-তখন হাত দেওয়া বন্ধ করুন
আমাদের অনেকেরই এই বদ অভ্যাস আছে, যখন-তখন চোখে হাত দিয়ে ঘষা কিংবা ডলে দেওয়া। এটি ক্ষতিকর একটি অভ্যাস। এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। যদি কখনো চোখে হাত দিতে হয় তাহলে আগে হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। আর যতটা সম্ভব চোখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন।
বিএসডি/এসএ