নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় তা শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) শেখানো হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সব কেন্দ্রেই ১৪ জানুয়ারি এ কার্যক্রম চলবে। এজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হবে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসার উপস্থিত থেকে মক ভোটিং সম্পন্ন করবেন। মক ভোটিং শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইভিএমসমূহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেবেন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণের আগের দিন ইভিএমসমূহ, বিভিন্ন কার্ড ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দ্রব্যাদি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে বুঝে নিয়ে ম্যানুয়েলের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিটি ভোটকক্ষে স্থাপন করতে নির্বাচন উপযোগী করার পর বিকেল ৪টার মধ্যে কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করবেন।
এ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। সে সময় প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পেয়েছিলেন ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৬ দিন। এবার ভোটগ্রহণ হবে ১৬ জানুয়ারি। প্রচার শুরু হয়েছে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর, আর শেষ হবে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি রাত ১২টায়। অর্থাৎ এবার প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পেয়েছেন ১৮ দিন।
২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। এবার ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এ সিটিতে। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালুর পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
বিএসডি/এসএ