নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রসহ চিহ্নিত তিন আসামির আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে শহরের ধানবান্দি মহল্লার বিএল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সংঘর্ষের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রটিই উদ্ধারকৃত অস্ত্র বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম জনি হাজাম। শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত আব্দুল মান্নান হাজামের ছেলে। তিনি যুবলীগ কর্মী বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
এর আগে, সংঘর্ষের সময় আরেক অস্ত্রধারী শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত শামসু খলিফার ছেলে সুমন খলিফাকে (২৪) একটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল ও পাঁচটি তাজা হাতবোমাসহ ১২ জানুয়ারি রাতে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বায়েজিত নামে আরও এক অস্ত্রধারী পলাতক রয়েছে।
ডিবি পুলিশের এসআই খোকন চন্দ্র সরকার জানান, সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া পিস্তলের ভিডিও’র সাথে উদ্ধারকৃত পিস্তলের মিল রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো এবং ত্রাস সৃষ্টির জন্য পিস্তলটি প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে আটক যুবলীগ কর্মী জনি হাজাম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে যাওয়ার পথে সরকারি ডিগ্রি কলেজ সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে তিন যুবককে পিস্তল প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বিএসডি/ এলএল