নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ১১ দফার পর এবার আরও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। খোলার চার মাসের মাথায় আবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজসহ সমপর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়াসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। শনিবার শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস কার্যক্রম যথারীতি চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়।
১১ দফা নির্দেশনা:
১. আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
২. এ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাস্তবতার ভিত্তিতে অনলাইন/ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
৩. যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট পানি এবং গ্যাস-সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে,
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানের জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।
৭. যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রবাস/ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস/ছাত্রীনিবাসগুলো খোলা থাকবে। তবে, সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
৮. অধিদপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ নিতে হবে।
৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয় যথারীতি চালু থাকবে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১০. স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
১১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
বিএসডি/ এলএল