নিজস্ব প্রতিবেদক:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী মাহিন শাহরিয়ার রাতুলের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাতে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। তবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হলেও রাতুল অনশন ভাঙেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরের দিকে হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তায় রাতুল জানান,উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তিনি আমরণ অনশন শুরু করেন। কিন্তু গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে তাকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা এবং অস্ত্রোপচরের করার কথা জানান। পরে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
ওই ভিডিও বার্তায় রাতুল বলেন, ‘আমার চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে অনেকেই মিথ্যা বলছে। এখানে আমার সকল চিকিৎসা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ও সাবেক ভাইয়েরা বহন করছে। এরাই আমার ভাই।’
গত শনিবার রাতে পেটে ব্যথা অনুভব করলে রাতুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার ১২টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে রাতুলের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে একটু একটু ব্যথা করছিল পেটে। প্রথমে ব্যথা পেটের মাঝখানে থাকলেও ধীরে ধীরে ডান পাশে ব্যথা অনুভব হয়। পরে হাসপাতালে এসে ডাক্তার আল্টাসনোগ্রাম করে নিশ্চিত হন এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা।’
রাতুল এদিন আরও বলেন, ‘ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো। কিন্তু ব্যথায় এখন খুব কষ্ট হচ্ছে’। কথাগুলো বলার সময় রাতুলের চোখে পানি দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএসডি/ এলএল