বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে গুগলের এআই অ্যাপ
বিদেশিসহ ৬ শতাধিক কয়েদিকে ক্ষমা করলেন ওমানের সুলতান
ঈদের আগে মোট রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার
সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই
কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন
গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল র‍্যাব
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
সৎ মা কারিনা ও বাবা সাইফকে বলিউডের সেরা দম্পতি বললেন...
গাজায় ঈদের আগের দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭০
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার

আইসিইউতে আছেন সেলিনা খাতুন (৩৫)। তাঁর বোন বলছেন, এই চিকিৎসার খরচ বহন করার সামর্থ্য তাঁদের আর নেই। চিকিৎসককে পীড়াপীড়ি করছেন, তাঁদের ছুটি দিয়ে দিতে। রোগী নিয়ে বাড়ি চলে যেতে চান তাঁরা। চিকিৎসক বললেন, রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে নিলেই তিনি মারা যাবেন। কে খুলবেন সেই মাস্ক? সেলিনার ছেলে সাব্বিরকে মায়ের মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে নিতে বলা হয়। কাঁদতে কাঁদতে ছেলে বলেন, ‘আমি মায়ের মুখের মাস্ক খুলতে পারব না।’ শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেলিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। চার দিন ধরে এভাবেই সেলিনার চিকিৎসা চলছে। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। সেলিনার মতো দরিদ্র পরিবারের অনেক রোগী গ্রামগঞ্জ থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বা করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যাঁদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য নেই।

সেলিনার বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। ১৩ দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর স্বামী আবুল বাসার দরিদ্র কৃষক। সেলিনাকে নিয়ে তাঁর বোন ইশিতা, তাঁর স্বামী আবদুর রশিদ ও খালা সকিনা বেগম হাসপাতালে আছেন। ইশিতা বলেন, তাঁরা ঋণ করে এই বোনের পেছনে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এখন আর পারছেন না। তাই বোনকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। তারপর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর বোনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়।

সেলিনার মতো দরিদ্র অনেক করোনা রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওষুধপত্রসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কিনে দিনের পর দিন চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য এসব পরিবারের নেই। অথচ করোনার শুরুর দিকে গ্রামের মানুষকে বলতে শোনা গেছে, এটা ধনীদের অসুখ। যাঁরা এসিতে থাকেন, তাঁদের অসুখ। তাঁরা মাস্ক পরে থাকুন। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারটি তাই আমলে নেননি তেমন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা ধনী–গরিব মানে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে যা কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগী গ্রাম থেকে আসা দরিদ্র মানুষ।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, জুন মাসের শুরু থেকে তাঁরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গ্রামের সাধারণ রোগী আইসিইউতে পাচ্ছেন; যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হবেন, এমনটা ভাবতেও পারেননি। তিনি বলেন, আইসিইউ ফ্রি। কিন্তু করোনায় শরীর প্রচণ্ড দুর্বল করে দিয়ে যায়, সে সময় অতিরিক্ত পুষ্টির দরকার। অক্সিজেন থাকার কারণে মুখে খেতে পারে না। তখন দামি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়। কিছু ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। কিছু পরীক্ষাও হাসপাতালে হয়। তবে দামি পরীক্ষাগুলো বাইরে করাতে হয়। এই খরচ জোগাড় করতেই দরিদ্র রোগীদের স্বজনেরা হিমশিম খাচ্ছেন।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল আরও বলেন, এবারের ডেলটা ভেরিয়েন্টের কারণে যাঁদের আইসিইউ লাগছে, তাঁদের আরও ৩–৪ সপ্তাহ পোস্ট কোভিড চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা, প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি ও সম্পূর্ণ বিশ্রামের ব্যাপারে শৈথিল্য—এগুলো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

হাসপাতালের খাতায় রোকেয়া খাতুনের ডাকনাম লেখা আছে বেবী। বয়স ৫৫ বছর। তাঁর বাড়ি নাটোরের চকরামপুরে। তাঁর স্বামী আবদুল মতিন মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি করেন। এ চাকরি সরকারি নয়। তাঁরা ১১ দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁর জামাতা ফজলুল ইসলামসহ তিনজন লোক সঙ্গে রয়েছেন। তাঁদেরও খরচ আছে। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। জামাতার ভাষায়, এই টাকা এর-ওর কাছ থেকে ধার করে এনেছেন। এই চিকিৎসায় তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।

হাসপাতালের খাতায় আনোয়ার সাদাতের নাম লেখা রয়েছে মিরন। তাঁর বয়স ৪০ বছর। বাড়ি রাজশাহী নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকায়। তাঁর বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর চাকরি করতেন। মিরন উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বেকার থাকার কারণে এখনো বিয়ে করেননি। সংসারে আয়ের কোনো মানুষ নেই। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর মা শাহিন আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি আর উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। ফলাফল অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। তারপরও তিনি বাসায় পড়ে আছেন। একমাত্র ছোট বোন ফারহানা হাসপাতালে ছিল। সে–ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন হাসপাতালে মিরনের কাছে তাঁর ফুফু নাজমা বেগম আছেন। তিনিই এ কাহিনি শোনালেন। তাঁর ভাষায়, তিনি ছাড়া তাঁর ভাতিজাকে দেখার আর কেউ নেই। একটা ইঞ্জেকশনের দামে সাড়ে তিন হাজার টাকা। দিনে তিনবার দিতে হচ্ছে। আজ একটা স্যালাইন লিখে দিল, সেটা আনা হলো। তার দাম ২ হাজার ৩৫০ টাকা। তিনি বলেন, তাঁদের মতো পরিবারের মানুষের এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।

রোববার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৯৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৭ জন। করোনা শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

২০ জুন পর্যন্ত রাজশাহী নগরে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত হিসাবে মৃত্যু ছিল শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর উপজেলাগুলোতে শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

জেলা করোনা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আবদুল জলিল বলেন, করোনা একটি অদৃশ্য ভাইরাস। এটা শুধু শহরেই নয়, গ্রামের দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে। এটায় শ্রেণি, পেশা বা ধনী–গরিবনির্বিশেষে আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিনা প্রয়োজনে বাইরে না বের হওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
এবার ঢাকার বাইরে মৃত্যু দ্রুত বাড়ছে
পরের পোস্ট
সুখের ভেতর গভীর অসুখ

সম্পর্কিত পোস্ট

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সাতক্ষীরার ২০ গ্রামে ঈদুল...

জুন ৬, ২০২৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই

জুন ৬, ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি

জুন ৬, ২০২৫

পশুর হাটে রশিদে মূল্য লেখা না থাকায় ইজারাদারকে...

জুন ৪, ২০২৫

নোয়াখালীতে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরির চেষ্টায় রোহিঙ্গা যুবকসহ আটক...

জুন ৪, ২০২৫

সিলেটে টিলা ধসে ৪ জনের মৃত্যু : হবে...

জুন ১, ২০২৫

৬ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্ট মার্টিন, দ্বীপে...

জুন ১, ২০২৫

‘নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে একাধিকবার থানায় গিয়েছি’

মে ৩১, ২০২৫

‘পুলিশের চাক‌রি করে সকল মানুষকে সন্তুষ্ট করা খুবই...

মে ৩১, ২০২৫

ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস, ধীর গতিতে চলছে গাড়ি

মে ৩১, ২০২৫

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English