নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না হয় তাহলে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের সকল ডিপো জ্বালানি তেল উত্তোলন থেকে বিরত থাকবে।
আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন, সহ-সভাপতি মো. এম. এ মোমিন দুলালসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, জ্বালানী মন্ত্রণালয় ও বিপিসি কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে বিবেচনাহীনভাবে জ্বালানী তেল বিক্রয়ের উপর কমিশন লিটার প্রতি মাত্র ২০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। যেখানে আমরা জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির অনেক আগ থেকেই বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, সর্বোপরি উচ্চমূল্যের বাজারে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে জ্বালানী তেল বিক্রয়ের উপর কমিশন ১.৬০ টাকা বৃদ্ধি করার জন্য দাবি করে আসছি। সেখানে সরকার গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিজেলের মূল্য এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করলেও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের জন্য কোনরূপ কমিশন বৃদ্ধি করেননি।
তাতে আরো বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারি বিপিসির ডাকা মিটিংয়ে আমাদেরকে একটি সম্মানজনক কমিশনের আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। কিন্তু কার্যত দুঃখজনকভাবে বিপিসি ও জ্বালানী মন্ত্রণালয় জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখিয়েছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, জ্বালানী তেল বিক্রয়ে তাদের লোকসান ঠেকাতে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে। অথচ যাদের মাধ্যমে এই পুরো তেল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাদের ব্যবসার প্রতি বিন্দুমাত্র সুবিচার করা হয়নি। ফলে সব জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেন।
বাংলাদেশের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পই প্রতিদিন গড়ে ২০০০ লিটারের নিচে ডিজেল বিক্রি করে থাকে। ফলে ২০ পয়সা দিয়ে গড়ে তাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা আয় বৃদ্ধি পায়। যা দিয়ে অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ এবং সকল বৃদ্ধি পাওয়া খরচ চালানো একেবারে দূরুহ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি সব বিভাগীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধ রেখে কঠোর কর্মবিরতি পালনের মতো কর্মসূচী ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জ্বালানি তেল বিক্রিতে ২.৯২ শতাংশ কমিশন পাচ্ছেন তারা।
বিএসডি/ এলএল