নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেনাপোল বন্দর দিয়ে তৃতীয় দিনের মতো দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবোঝাই ট্রাক আমদানি ও রফতানি হয়নি।
পেট্রাপোল বন্দরে এলপি (ল্যান্ডপোর্ট) ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ ট্রাক মালিক সমিতি, পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও বনগাঁ মহকুমা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও যাত্রীবাহী পরিবহন সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি কাজে নানা হয়রানি বন্ধসহ নতুন এলপি ম্যানেজারের প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েক দফা বৈঠক করেও কোনো ফল হয়নি।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র জানান, নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের সাথে কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের ওপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে আমাদের বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের বন্দরে অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। পণ্য পরিবহন কাজে জড়িত শ্রমিকদের বন্দরের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কাস্টমস ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনো পরিবহন কর্মীকে আইসিপি ও বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারায় আমদানি-রফতানি কাজে জড়িতদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এসব হয়রানির প্রতিবাদে প্রশাসনের সাথে বৈঠক করা হলেও এলপি ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, গত সোমবার সকাল থেকে ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বেশ ক’টি শ্রমিক সংগঠন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ ধর্মঘটের কারণে দু’দেশের বন্দর এলাকায় কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। ফলে কাঁচামালের অভাবে শিল্প কল-কারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় কুমার জানান, বেনাপোলের ওপারে ভারেতের পেট্রাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের কারণে তৃতীয় দিনের মতো বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি। তবে বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোডসহ পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে।