বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, রাশিয়া…ফিনল্যান্ডের জন্য প্রতাপশালী তিন প্রতিপক্ষই। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রতাপশালী এই তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করে অসাধারণ এক রূপকথা রচনা করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এবারের ইউরো খেলতে এসেছিল ফিনল্যান্ড। শেষ ১৬ মিনিটে ২ গোল খেয়ে বেলজিয়ামের কাছে হেরে তাদের সেই স্বপ্নে বড় একটা ধাক্কাই লেগেছে।
বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করবে ফিনল্যান্ড! একটু বেমানান কথাই মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কিন্তু এই বেমানান কাজটা প্রায় করে ফেলেছিল ফিনিশীয়রা। বেলজিয়ামের আক্রমণভাগের সামনে দুর্ভেদ্য এক দেয়ালই গড়ে তুলেছিল তারা। যে দেয়াল ৭৪ মিনিট পর্যন্ত বসে রেখেছে ফিফার এক নম্বর দলকে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য পারেনি ফিনিশীয়রা। ৭৪ মিনিটে ভাঙে তাদের কঠিন দেয়াল। সেটাও অবশ্য আত্মঘাতী গোলে! ৭৪ মিনিটে ভিটসেলের কর্নার থেকে দুর্দান্ত একটি হেডই করেছিলেন টমাস ভারমিউলেন। কিন্তু ভারমিউলেনের সেই হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসলেও ফিনল্যান্ডের গোলকিপারের হাতে লেগে ঢুকে যায় জালে। হতবিহবল হয়ে পড়েন ফিনল্যান্ডের গোলকিপারসহ সব খেলোয়াড়েরা।
এই গোলটি খাওয়ার আগে সরাসরি শেষ ষোলোতে যাওয়ার লড়াইয়ে ডেনমার্কের চেয়ে এগিয়ে ছিল ফিনল্যান্ডই। গ্রুপেবর অন্য ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে ওই সময় পর্যন্ত ডেনমাকর্ ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও গোলশূন্য সমতায় থাকা ফিনল্যান্ড ছিল পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
আত্মঘাতী গোলটি খাওয়ার পর হয়তো মন ভেঙে যায় ফিনিশীয়দের। ৭ মিনিট পর তাই আরেকবার ভাঙে তাদের রক্ষণদেয়ালও। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান রোমেলু লুকাকু। এই গোলের পর এবারের ইউরোতে ৩ গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ভাইনালডাম ও প্যাট্রিক শিকের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার। লুকাকু গোল পেতে পারতেন ৩৭ মিনিটেও। বল জালে পাঠালেও অবশ্য অফসাইডের কারণ বাতিল হয়েছে তাঁর গোল।
এই ম্যাচ শেষে ৩ ম্যাচে পুরো ৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে বেলজিয়াম। ৩ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে উঠেছে ডেনমার্কও। সমান পয়েন্ট নিয়ে ফিনল্যান্ড আছে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। অপেক্ষায় আছে তারা তৃতীয় সেরা দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠার। আর ৩ পয়েন্ট পেলেও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছে রাশিয়া।