নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আমি এখনো সাধারণ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এফডিসিতে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে এসে গায়ের জোরে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন নিপুণ, এ কারণে আমি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি। ১৭৬ জন ভোটার আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এর সম্মান আমাকে রাখতেই হবে’―এমনটাই মন্তব্য করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান।
রবিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ রাজধানীর বিএফডিসিতে বিজয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিপুণসহ তাঁর প্যানেলের বিজয়ীরা। মিশা-জায়েদ প্যানেলের একজনই উপস্থিত ছিলেন সেখানে, তিনি মিশা সওদাগর। বিকেল সাড়ে ৫টায় বিদায়ি সভাপতি মিশা সওদাগর শপথ পাঠ করান নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে। পরে সভাপতি শপথ পাঠ করান সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের।
এফডিসিতে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে এসে নিপুণ গায়ের জোরে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন―এমনটাই দাবি জায়েদের। তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন এফডিসিতে শত শত বাইরের মানুষ আনা হয়েছে। পেশিশক্তি দেখিয়ে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলেই কি সেটাই কার্যকর হয়ে যাবে? এফডিসিতে সৃজনশীল কাজ হয়। সিনেমা, শিল্পের কাজ হয়, এখানে এত বহিরাগত ছেলে, ওরা কারা?’
ঘোষণার আগের রাতেই রাজধানীর বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় নীলনকশা করা হয়েছে দাবি করে জায়েদ খান বলেন, ‘সোহানুর রহমান সোহান, মোহাম্মদ হোসেনকে নিয়ে নিপুণ শুক্রবার রাতে বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় এই নীলনকশা তৈরি করে। ওদের গোপন এই তথ্য আমার কাছে আছে। আইনের কাছে এই নীলনকশা হেরে যাবে। ‘
জায়েদ আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে যেন শপথ না করানো হয় এ জন্য আমি সোহানুর রহমান সোহান ও মোহাম্মদ হোসেনকে আজকেও (রবিবার) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। তাঁরা কেউ আইন মানছেনই না। এখন আমার একটাই পথ, আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই চালিয়ে যাওয়া। ‘
শপথ অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর কার্যত নিপুণকে সমর্থন দিয়েছেন। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘তার অন্তত আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছে সেটা নিয়েও বলা উচিত ছিল। ‘