নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হয় সারা বিশ্বে। দিন দিন এ চাহিদা বেড়েই চলেছে। তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর অবস্থান, তৈরি পোশাকের ধরন, মান ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গলদঘর্ম হতে হয়। কারণ এ নিয়ে এতদিন সমন্বিত তথ্যভাণ্ডার ছিল না। এতে ক্রেতাদের অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬৩০টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার তথ্য নিয়ে সমন্বিত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলেছে ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি)।
২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কারখানা শুমারির মাধ্যমে এসব তথ্য এমআইবির ডিজিটাল ম্যাপের আওতায় আসে। গতকাল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে ম্যাপড ইন বাংলাদেশ জানায়, লডেস ফাউন্ডেশন ও নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত প্রকল্পটি ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রকল্পের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর প্রকল্পটিতে কৌশলগত সহায়তা করছে।
এমআইবির উদ্দেশ্য হলো, এ সেক্টরের সব অংশীদারদের পোশাক কারখানাগুলোর সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য হালনাগাদ করা তথ্য দেওয়া। যাতে আরও বেশি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।
ম্যাপড ইন বাংলাদেশের গবেষকরা সম্প্রতি একটি প্রকাশনায় দেখিয়েছেন, দেশের ৩ হাজার ২১২টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক ও ৫৮ শতাংশ নারী শ্রমিক কাজ করছেন।