টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১২ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে।কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি ৪ একর জমিতে বোরো আবাদ করবো। আমার প্রায় ৩ একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। শ্রমিকদের সাথে নিয়ে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করছি। জমি প্রস্তুত ও জমিতে পানি সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে দিচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের ভালো ফলন হবে আশা করি।
কৃষক ঘুনু মন্ডল বলেন, জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণে পরিবারের সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছি। পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি শ্রমিকদের নিয়ে জমিতে চারা রোপন করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি। জমিতে সারিবদ্ধ করে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। সারিবদ্ধ করে চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়। ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করবো।
নীলফামারী থেকে আসা শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি তিন বছর ধরে বোরো আবাদের কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করি। দিন ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করে থাকি।
জামালপুর থেকে আসা শ্রমিক সাজ্জাদ মিয়া বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যাই। শ্রমিকের কাজ করাই আমার পেশা। ধান রোপণ ছাড়াও ধান কাটার সময় আসি। যে টাকা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালাই। দিন ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করি। বাজার উঠানামা করলে আমাদের দাম কমে বাড়ে। প্রতিদিন ৬০০-৬৫০ টাকায় কাজ করছি। ৭ দিন হয়েছে কাজ করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন জানান, জেলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১২ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের উচ্চফলনশীল জাতের বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। উচ্চফলনশীল জাতের ধান রোপণ করে কৃষকরা যেনো লাভবান হয় এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ধানের ফলন ভালো হবে।