বাজারদরের চেয়ে কম দামে পণ্য পাওয়ায় টিসিবির ট্রাকের সামনে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের ভিড় বেড়ে যায়। গত শনিবার শেষ হয়ে যায় টিসিবির পণ্য বিক্রির মেয়াদ। পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের চিন্তায় পড়েছেন।
টিসিবির পণ্য কিনতে এসে অপেক্ষা করছেন পূর্ব হাজীপাড়া মহল্লার ফেরদৌসী বেগম। তাঁর স্বামী শহরের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী। পণ্যের ট্রাক না আসায় তাঁর মধ্যে প্রচণ্ড অসন্তোষ। সে সময় তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর বেতনে সংসার চলে না। ছেলেমেয়ে নিয়ে অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। তাই কম দামে তেল, ডাল, চিনি কিনতে এসেছেন। টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ হওয়ার কথাটি সে সময় এই প্রতিবেদক তাঁকে জানান। শুনেই মুষড়ে যান ফেরদৌসী, চোখমুখ কালো হয়ে আসে তাঁর। একটু দম নিয়ে তিনি বলেন, ঘরে খাওয়ার লোক চারজন। টিসিবি থেকে কম দামে তেল-ডাল পাইলে কিছু পয়সা বাঁচে। বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার জন্য সংসার চালানো কষ্ট হয়ে গেল। পরে এ বিষয়টি অপেক্ষায় থাকা লোকজনকে জানালে তাঁরা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পরছিলেন না। শেষমেশ এই প্রতিবেদক টিসিবির এক পরিবেশকের সঙ্গে তাঁদের মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন। পরে তাঁরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন।
শহরের দোকান কর্মচারী মকছেদ আলী। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন হঠাৎপাড়া এলাকায়। তিনি বলেন, দুই বছরে বেতন এক টাকাও বাড়েনি। কিন্তু সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এখন জীবন চালাতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।
টিসিবি রংপুর কার্যালয়ের উপঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী প্রতাপ কুমার বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি এ পর্যায়ে টিসিবি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে আবার শুরু হবে। তবে কবে শুরু হবে, এখনই তা ঠিক বলতে পারছি না।’
বিএসডি/ এফএস