বিচারক শামসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্ত করে ১৫ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হককে। বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ওয়াজেদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী ফারুক হোসেন বলেন, বারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি ওয়াজ মাহফিলে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন, যা অত্যন্ত মানহানিকর।
সম্প্রতি মাহবুবুর রহমান বারদি ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যে বলেন, তিনিই বারদি ইউনিয়নের ম্যাজিস্ট্রেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কখনো বারদি আসেন, তাঁর অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে প্রশাসনকে অবশ্যই তাঁর পক্ষে কাজ করতে হবে। কারও ফোনে প্রশাসন আসবে না, তিনি যদি বলেন সুইচ অফ, তাহলে সব বন্ধ হয়ে যাবে।
মাহবুবুরের এসব বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে আওয়ামী লীগের এই নেতাকে বলতে দেখা যায়, ‘এখন থেকে হাটবাজারগুলোতে কেউ সমস্যা করলে তাদের হাত–পা ভেঙে আমাকে খবর দেবেন। হাত-পা না ভাঙলে আমি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেব।’