টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে সফল মো. আকরাম হোসেন। সে উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা গ্রামের বাসিন্দা। আকরাম হোসেন পেশায় ছিলেন একজন কাঠ ব্যবসায়ী। পাঁচতারা গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর কূল ঘেঁষে রয়েছে তার কয়েক বিঘা পতিত জমি। অনাবাদি জমিকে কাজে লাগানোর জন্য কয়েক জনের সাথে পরামর্শ করে এক প্রকার শখের বশেই শুরু করেন কাশ্মীরী আপেল কুল চাষের। রোপণ করেন ১৪ শত চারা। প্রথম বছরেই খরচের টাকা উঠে আসায় আগ্রহ বেড়ে যায় তার। বর্তমানে ১২ বছরের সফল আপেল কুল চাষি আকরাম হোসেন। তার বাগানের উৎপাদিত কুল মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বেশ চাহিদা।
রসালো আপেল কুল দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখন আকরামের বাগানে রয়েছে প্রায় ১ হাজার চারা। গাছের বয়স বেশি হওয়ায় ফলন ফল কম হয়েছে তবু লাভ হবে বলে জানান তিনি। প্রায় প্রতি দিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেখতে আসে এই আপেল কুল বাগান।
আকরাম হোসেন বলেন, কাঠ ব্যাবসা বাদ দিয়ে শখের বসে ১২ বছর আগে অনাবাদিতে শুরু করেন আপেল কুল চাষের। প্রথম বছরই খরচ উঠে আসে তার। খুবই লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে তার দুটি আপেল কুল ও দুটি লেবু বাগান রয়েছে। আপেল কুল ও লেবু বিভিন্ন বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, আমাদের দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই এ উপজেলায় কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ শুরু হয়েছে। ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা গ্রামের চর এলাকাসহ নাগরপুরে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। আকরাম হোসেন সফল হওয়ায় আরও অনেক যুবক আগ্রহী হবে বলেও তিনি জানান।
বিএসডি/ এলএল