বর্তমান সময় ডেস্ক:
নাটোরের উত্তরা গণভবনে রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলন মেলা ২০২২। অন্ধকারে লেজার রশ্মির দ্যুতি ছড়িয়ে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় উভয় দেশের এই সাংস্কৃতিক উৎসব। শুরুতেই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয় ভারতের শিল্পীরা। এরপর স্বাগতিকরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, সহকারী হাই-কমিশনার সঞ্জীব ভাটি, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক মহাত্মাগান্ধীর অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে শান্তিপূর্ণ, উন্নত, আধুনিক, নান্দনিক, মানবিক ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতে মৈত্রী ও বন্ধুত্বের সুবর্ণ জয়ন্তীতে আয়োজিত এই উৎসব বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ৫০ বছরে ভারতের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ভারতের সঙ্গে আমাদের যে রাজনৈতিক সম্পর্ক, এর সাথে অর্থনৈতিক ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক ত্বরান্বিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন ভারতের সহায়তায় আমাদের নাটোরে হাইটেক পার্ক, বাংলাদেশ ভারত ডিজিটাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার হচ্ছে। এছাড়া আমরা নাটোর সহ ৬৪ জেলায় এডুকেশন, ট্রেনিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সেন্টার (এডুটেইনমেন্ট) প্রতিষ্ঠা করছি। তিনি বলেন, নাটোরবাসী নাটোরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাণী ভবানীর স্মৃতি বিজড়িত উত্তরা গণভবনে যে সাংস্কৃতিক আয়োজন করেছি, তাতে আমাদের প্রত্যাশা ভারতের বন্ধুরা এগুলো উপভোগ করে তারা বাংলাদেশকে এবং নাটোরকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৪২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল নাটোর উত্তরা গণভবনে পৌঁছালে স্বাগত জানান।
বিএসডি/ এফএস