আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার পর ২৮ নাবিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। তবে সে ক্ষেত্রে আগে নাবিকদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) একাধিক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, নাবিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ফিরিয়ে আনতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা কাজ করছে।
এদিকে, হামলা শুরুর পর থেকেই জাহাজের নাবিকরা সাহায্য চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জানান, ‘আমরা এখন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহে চলছি। আমরা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। কিন্তু এখনো আমাদেরকে উদ্ধার করা হয়নি। আমরা সবাই এখানে আছি। আমাদেরকে বাঁচান। আমরা এখনো কোনো সাহায্য পাইনি’।
জাহাজের একজন ক্রু সদস্য ক্যাডেট ফারিয়াতুল জান্নাত তুলি বলছেন, কয়েক মিনিট আগে আমাদের জাহাজে বোমাবর্ষণ হয়েছে। আমাদের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার স্যার ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আমরা সবাই খুব বিপদে আছি। আমাদেরকে প্লিজ উদ্ধার করুন এখান থেকে। আমাদেরকে বাঁচান প্লিজ।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও জাহাজের একটি কক্ষ থেকে করা হয়েছে। সেখানে আরো ১২ নাবিককে দেখা যায়।
এদিকে ইউক্রেনে নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনতে আকুতি জানিয়েছে তার পরিবার। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সাল থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন হাদিসুর রহমান। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে।
সরকারি সংস্থা বিএসসির সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধির ২৯ জন ক্রু সদস্যের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জাহাজটি বল ক্লে নামক খনিজ উপকরণের জন্য ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের নোঙ্গর করে। রুশ হামলা শুরু হলে বন্দরটির কার্যক্রম স্থগিত হয় এবং বাংলাদেশের জাহাজটি সেখানে আটকা পড়ে যায়।
বিএসডি/ এফএস