এবার পূজা মণ্ডপে সন্ধ্যায় আরতির পর কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। আজ বুধবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় একথা জানান সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল। তিনি জানান, প্রতিদিন বেলা ১১টায় পূজা শুরু হবে এবং সরাসরি অঞ্জলি দান প্রচার হবে গণমাধ্যমে।
কিশোর রঞ্জন মন্ডল জানান, এ বছর মা দোলায় চড়ে আগমন ও গজে গমন করবেন। শারদীয় দুর্গা পূজা ২১ অক্টোবর শুরু হবে অকাল বোধনের মাধ্যমে। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে এবং ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটবে।
সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা মুক্তির জন্য মহাসপ্তমীর দিনে ১২টা ১ মিনিটে মায়ের কাছে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। মায়ের ভাগের প্রসাদ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খিচুড়ি বা এ জাতীয় প্রসাদ বিতরণ এবং বিজয়ার শোভাযাত্রা এ বছর হবে না।
এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাত ৯টা পর্যন্ত পূজামণ্ডপ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে সন্ধ্যা আরতির পর মণ্ডপ বন্ধ থাকবে। প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি বিসর্জন ঘাটে গিয়ে মাকে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল করা হয়েছে যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন।
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজার দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল। একই সময়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই এবার ভক্তরা মায়ের চরণে অঞ্জলি দেবেন বলে জানান সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল।