আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছর নবমবারের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। আজ শনিবার কোরীয় উপদ্বীপের পূর্বে সাগর লক্ষ্য করে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বছরের অষ্টম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল দেশটি। এ বছর শুধু জানুয়ারি মাসেই সাতটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছিল কিম জং উনের দেশ।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এবং জাপানের সরকার। দেশটি ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী অস্ত্রের প্রদর্শনী করতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল। ধারণা করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে নজরদারি করার একটি স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সালের পর দেশটি ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা অথবা দীর্ঘতম পরিসরের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নবুও কিশি বলেন, যে ধরনের গোপনীয়তার মধ্যে উত্তর কোরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্র-নিক্ষেপণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে যাচ্ছে, আমাদের বা আসেপাশের দেশগুলোর পক্ষে সে প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়।
আগামী বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরই মধ্যে দেশটির নাগরিকরা ভোট দেয়া শুরু করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপণের ‘অভিনব পুনরাবৃত্তি’কে কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিপক্ষে যাচ্ছে বলে নিন্দা জানিয়েছে।
সংস্থাটির বরাত রাষ্ট্রপতির বাসভবন ব্লু হাউজ জানায়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর আরো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি ইয়ংবিয়নে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক চুল্লি এবং পাংজাই-রি-এর পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার দিকটিও নজরদারির মধ্যে থাকবে।
বিএসডি/ এফএস