আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসে থমকে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। এ ভাইরাস যেন সভ্যতা আর উন্নত প্রযুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিন্ন এক পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আমাদের। অবস্থার ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের জন্য বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ভুয়া টিকার বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এসেছে। তবে তার আগেই মুম্বাইয়েও ভুয়া প্রতিষেধকের ঘটনা জনসমক্ষে এসেছিল। সেখানে নকল টিকা নিয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ।
আনন্দবাজারের খবর সুত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় মোট সাতটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, যারা ভুয়া টিকার শিকার হয়েছে, তাদের সম্ভবত লবণপানি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, ‘এ ধরনের ভুয়া প্রতিষেধক চক্রের বিষয়টি জানতে পারলেই প্রশাসনের উচিত, তা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। সে জন্য রাজ্যের উচিত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) বিশ্বাস নাংরে পাটিল জানিয়েছেন, প্রতারণার ফাঁদ পেতে সংগৃহীত ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মণীশ ত্রিপাঠী ও মহেন্দ্র সিংহের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, আটটি ভুয়া ভ্যাকসিন শিবিরের আয়োজন করেছিল অভিযুক্তরা। পুলিশের দাবি, এক অভিযুক্ত জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের এক হাসপাতাল থেকে তারা কোভিশিল্ডের ভায়াল জোগাড় করেছিল।
গত ১৭ জুন কান্দিভলী পশ্চিমের এক আবাসনে প্রথম ভুয়া ভ্যাকসিনের ঘটনা সামনে আসে। পরে বোরীভলী, আন্ধেরী, খার, পারেল, মালাডসহ মোট ৯টি জায়গায় ভুয়া ভ্যাকসিন শিবিরের খোঁজ মিলেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও অনেক অঞ্চলেও নকল প্রতিষেধকের ফাঁদ পেতেছিল চক্রগুলো।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুম্বাই পুলিশ।
আই,ডি/এম,এম