নিজস্ব প্রতিবেদক:
এখন বোতলের গায়ের মূল্য তুলে দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। পাম তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আবদুল হামিদের স্ত্রী জানান, প্রতিদিন তাঁদের হোটেলে ৫০০ পরোটা ভাজা হয়। সেসব পরোটা ভাজতে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার তেল লাগে। এখন ফোঁটায় ফোঁটায় তেল দেওয়ার কারণে এক লিটার তেল কম যাচ্ছে। এতে তাঁদের সাশ্রয় হচ্ছে।
সকাল সোয়া আটটায় হামিদের হোটেলে নাশতা খেতে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম। নাশতা খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘তেল সাশ্রয়ে হামিদ ভাইয়ের এই উদ্ভাবন দেখে খুশি হয়েছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামের সময় পরোটার দাম না বাড়িয়ে কীভাবে আগের দামেই (৫ টাকা) বিক্রি করা যায়, সেটার একটা কৌশল উদ্ভাবন করেছেন তিনি।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদি বলেন, ‘তেলের সংকট সাময়িক। তেলের সরবরাহ কম হলেও কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়মিত তদারক করছি।’
বিএসডি/ এফএস