আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হাইপারসনিক অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সক্ষমতা নিয়ে সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। গত সেপ্টেম্বরে গঠিত সামরিক জোট অকাস (এইউকেইউএস) নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের মধ্যে মঙ্গলবার এক অনলাইন বৈঠকে এ সমঝোতা হয়।
নবগঠিত এই সামরিক জোট অস্ট্রেলিয়াকে ফ্রান্স থেকে প্রচলিত সাবমেরিন কেনার বদলে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসমর্থিত পারমাণবিক সাবমেরিন কর্মসূচিতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করে। সাবমেরিন চুক্তি বাতিল করায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে জনসন, বাইডেন ও মরিসন বলেছেন, তারা অস্ট্রেলিয়ার জন্য প্রচলিত অস্ত্রে সজ্জিত পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন কর্মসূচির অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট এবং জোটের মিত্ররা অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। ‘আমরা আজ হাইপারসনিক্স ও হাইপারসনিক্স প্রতিরোধী এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সক্ষমতা নিয়ে নতুন ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা আরম্ভ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি,’ বিবৃতিতে তারা এমনটি বলেছেন । আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ‘সাইফায়ার’ নামের একটি হাইপারসনিক অস্ত্র কর্মসূচি আছে।
একজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদিও এই মুহূর্তে ব্রিটেন এ কর্মসূচিতে যোগ দেবে না, কিন্তু দেশ তিনটি এই ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে গবেষণা ও উন্নয়নে একত্রে কাজ করবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ায় বাইডেন প্রশাসন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের পাঁচগুণ গতিতে ছুটতে পারে।
ঐ তিন দেশের নেতারা বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার বিনা উসকানিতে, অহেতুক ও বেআইনি আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিরোধের জবরদস্তিমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতির প্রতি আমাদের অটুট প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’ তারা একটি ‘মুক্ত ও অবাধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের’ প্রতিও তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিএসডি/ এমআর