খেলাধূলা প্রতিনিধি:
প্রথমে তাঁর গুগলিতে স্টাম্পড হন ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৬), দুই বল পর সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা হজম করে কলকাতা। শ্রেয়াসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন চাহাল। শ্রেয়াসের ৫১ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি শেষ হওয়ার সঙ্গে মূলত কলকাতার জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চাহাল এখানেই থামেননি। ওভারের শেষ দুই বলে শিভম মাভি ও প্যাট কামিন্সকেও তুলে নিয়ে আইপিএলে ২১তম হ্যাটট্রিক উপহার দেন রাজস্থান স্পিনার।
উমেশ যাদব কিছুটা লড়লেও শেষ তিন ওভারে ৩৮ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি কলকাতা। ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৮তম ওভারে দুই ছক্কা ও চার মেরে কলকাতাকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখান ভারতের এই পেসার। বোল্টের এই ওভার থেকে ২০ রান তুলে নিয়ে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন উমেশ যাদব ও শেলডন জ্যাকসন।
এর আগে ২৮ বলে ৫৮ রান করে কলকাতাকে দারুণ শুরু এনে দেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফিঞ্চ। নবম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃঞ্চর বলে ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর হাল ধরেন শ্রেয়াস। ১৩ ও ১৪তম ওভারে গিয়ে নীতিশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলকে হারিয়ে চাপে পড়ে কলকাতা।
১৪তম ওভারে ক্যারম বলে রাসেলকে বোকা বানিয়ে তাঁকে ‘গোল্ডেন ডাক’ উপহার দেন রাজস্থান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইনিংসের প্রথম বলে সুনীল নারাইন রানআউট হওয়ার পর থেকেই অবশ্য চাপে ছিল কলকাতা। ফিঞ্চ ও শ্রেয়াস মিলে বাকি পথটা পাড়ি দিলেও শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি কলকাতা।
অভিষিক্ত ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেদ ম্যাকয় শেষ ওভারে জ্যাকসন ও উমেশকে তুলে নিয়ে দারুণ জয় এনে রাজস্থানকে। ৯ বলে ২১ রান করা উমেশের ইনিংসটি কলকাতা সমর্থকদের জন্য আক্ষেপ হয়েই থাকবে। ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন চাহাল। কলকাতার হয়ে ২ উইকেট নারাইনের।
রাজস্থানের ইনিংসে প্রায় পুরোটাই বাটলার আলোয় উদ্ভাসিত। ৫৯ বলে শতক তুলে নেন বাটলার। ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৬১ বলে তাঁর ১০৩ রানের ইনিংস রাজস্থান সমর্থকদের মনে থাকবে অনেক দিন।
গত আইপিএল এবং এবারের সংস্করণ মিলিয়ে মোট সাত ইনিংসে তিনটি শতক তুলে নিলেন বাটলার। এর মধ্যে এই আইপিএলেই দুটি শতক হয়ে গেল তাঁর। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান, শতক ও সর্বোচ্চ চার-ছক্কাও বাটলারের।
বিএসডি/ এমআর