শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৫ রান। এক ছয় আর এক চার মারলেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। কাগিসো রাবাদাকে শেষ ৬ বলের ৩ বলই যে ডট উপহার দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ১ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) গ্রেনাডার জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার ডি ককের ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে এই রান করে প্রোটিয়ারা। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল।
অ্যাডেন মার্করাম ১৮ বলে ২৩ ও রসি ভ্যান ডার ডুসেন খেলেন ২৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস। সফরকারীরা ১৭ ওভার ২ বলে ১৫০ রান করলেও বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফেরেন মাত্র ১ রান করে। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ দেখননি দুই অঙ্কের মুখ।
৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ওবেদ ম্যাককয় নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন ডুয়াইন ব্র্যাভো।
টার্গেটে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে উইন্ডিজ। তবে ব্যাটসম্যানরা বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারার মাশুল গুণতে হয় ক্যারিবীয়দের। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান।
ক্রিজে অ্যনাড্রু রাসেল ও নিকোলাস পুরাণ থাকায় জয় নিয়ে উইন্ডজদের কোনো শঙ্কা ছিল না। ১৭তম ওভারের প্রথম দুই বলে নর্টজেকে ৬ মেরে জয়ের সম্ভাবনা আরো জোরালো করেন রাসেল। একই ওভারের তৃতীয় বলে বাভুমার হাতে জীবন পেয়েও সাজঘরে ফেরেন শেষ বলে। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৩ রান।
রাসেল আউট হলেও পুরাণ মাঠে থাকায় জয়ের পাল্লা ভারি ছিল ক্যারিবীয়ানদেরই। এক ওভার পরেই নর্টজের শিকার এবার পুরাণ। ২৮ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। ডেথ ওভারে রাসেল-পুরাণকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেন নর্টজে। আর শেষ ওভারে কাজটা সম্পূর্ণ করে দেন অভিজ্ঞ কাগিসো রাবাদা।
উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন এভিন লুইস। অ্যালেন অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৪ রানে। ডুয়াইন ব্র্যাভো ক্রিজে নামলেও ১ বল খেলে কোনো রান নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত থামতে হয় ১৬৬ রানে!
প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন অ্যানরিক নর্টজে ও তাবরেইজ শামসি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেওয়া শামসির হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরষ্কার।
৫ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২ ও ৪ জুলাই।
ঢাকা/এসআইএস