খেলাধূলা প্রতিনিধি:
বিরতির আগে তাই প্রতিপক্ষের গোলমুখে একটাও শট ছিল না কোনো দলের। এর মধ্যেও সবচেয়ে ভালো সুযোগটা পেয়েছিলেন আবদুলায় ডুকুরে, ৩৪ মিনিটে। রিচার্লিসনের পাস থেকে লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসনকে একা পেয়েও তিনি বল মেরেছেন পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। দুয়েকটা শট নিয়েছেন মো সালাহ-সাদিও মানেও। কিন্তু লক্ষ্যে ছিল না কোনোটাই। বিরতির পর একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন এভারটন উইঙ্গার অ্যান্থনি গর্ডন। ৫৬ মিনিটে অ্যালেক্স আইওবির পাস থেকে বল পেয়ে তিনিও শট নিয়েছেন পোস্টের বাইরে।
অ্যানফিল্ডের দর্শকেরা ততক্ষণে বেঞ্চে থাকা ডিভক অরিগির নামে স্লোগান ধরেছেন। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২০১৮ ডিসেম্বরে লিগের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে লিভারপুলকে জেতানোর স্মৃতি মনে করেই হয়তো। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও বুঝি অ্যানফিল্ডের সমর্থকদের কথাই শুনলেন। ৫৯ মিনিটে কেইটার বদলি হিসেবে নামালেন অরিগিকে। মিনিট তিনেক পরে সেই অরিগির সঙ্গেই ওয়ান-টু খেলে সালাহ ক্রস বাড়ালেন এভারটনের বক্সে। দারুণ হেডে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিলেন অ্যান্ডি রবার্টসন।
গোল খেয়ে কিছুটা তালগোল পাকিয়ে ফেলে এভারটন। ফলে চার মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়াতে যাচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ডের ক্রস থেকে আসা বল এভারটনের বক্সের জটলার মধ্যে পেয়েও মো সালাহর শট মারেন বারের ওপর দিয়ে।
যার নামে অ্যানফিল্ডের সমর্থকেরা গর্জন করছিলেন, সেই অরিগিও শেষ পর্যন্ত গোলের খাতায় নাম তুললেন ৮৫ মিনিটে। লুইস দিয়াজের দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিক থেকে বলে হেড করে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড বল পাঠান এভারটনের জালে। ওই গোলেই আসলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় লিভারপুলের। সব প্রতিযোগিতা মিলে এ নিয়ে এভারটনের বিপক্ষে ৬টি গোল হলো অরগির, লিভারপুলের জার্সিতে অন্য কোনো দলের বিপক্ষেই এর চেয়ে বেশি গোল নেই তাঁর।
বিএসডি/ এমআর