আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে টোকিওতে চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর শীর্ষ সম্মেলন। তার আগে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বাড়ানো এবং চীনের প্রভাবকে খর্ব করার লক্ষ্যে সক্রিয় হল ওয়াশিংটন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির পরিকাঠামো, পরিবেশ, সমুদ্রপথে নিরাপত্তাকে চাঙ্গা করতে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল জো বাইডেন প্রশাসন।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই অঞ্চলে বিপুল বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আসিয়ান-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ওয়াশিংটনে আসিয়ানের এই প্রথম বৈঠক। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিনিয়োগের চল্লিশ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে সমুদ্রপথে সহযোগিতা, পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য।
আমেরিকার উপকূলরক্ষীরা ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গিয়ে নৌ-প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আসিয়ানের দশটি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের জন্য এবং এই অঞ্চলে উদ্যোগ বাড়াতে আমেরিকা নতুন আঞ্চলিক নীতি তৈরি করছে বলেও খবর। আসন্ন কোয়াড সম্মেলনে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে কোয়াড গোষ্ঠীর দেশগুলির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে টোকিও যাবেন। এই গোষ্ঠীর দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে পার্শ্ব-বৈঠক করারও কথা রয়েছে তার। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চীনের একাধিপত্যের জবাবে আমেরিকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বড় করে জাঁকিয়ে বসতে চলেছে। বেশ কিছু ‘ফরচুন ৫০০’ সংস্থা এই এলাকায় বিনিয়োগ করবে। পাশাপাশি ইউরোপের বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে। এই সময়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউনের কারণে এই অঞ্চলে চীনের ক্রমপ্রসারণ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে।
থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামে ইউরোপের এবং আমেরিকার বিনিয়োগ এই সুযোগে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপিন্স উভয়েই এ সুযোগে আমেরিকার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে।
বিএসডি/ এমআর