নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে গত এক দিনে আরও ৩৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের ৩১ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তবে এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে টানা ২৯ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য সময় পার করল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে বৃস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এক দিনে ৫ হাজার ৭৭২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর পূর্বে জমা কিছু নমুনাসহ মোট ৫ হাজার ৮৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় নতুন করে ৩৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ২২ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর। আর নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮ জনে। তবে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১২৭ জন রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ২১৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৩৫৪ জন সেরে উঠলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন একজন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ১৪ হাজার ২৪১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ৫৪৫ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিএসডি/ এমআর