খেলাধূলা প্রতিনিধি:
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের জুটিতে ম্যাচ বাঁচানোর আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিনে মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১০৩ রান। কিন্তু লিটনের বিদায়ের পর আর মাত্র ১৩ রান তুলতে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ফলে ঢাকা টেস্টে জিততে শ্রীলঙ্কার সামনে দাঁড়ায় ২৯ রানের সহজ লক্ষ্য।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই দুইবার ঘটলো ব্যাটিং ধস। প্রথমবার টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় বৃহস্পতিবার ২৩ রানে পড়ে ৪ উইকেট। পরে শুক্রবার ১৩ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটার। এর আগে প্রথম ইনিংসেও ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ বিপদে পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। শুধু এই ম্যাচ নয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় নিয়মিতই ঘটছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের ঘটনা।
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মুমিনুল হকের দল। এর আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ব্যাটিং নিয়ে একদমই স্বস্তির সুযোগ নেই বাংলাদেশের। এমনকি দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও জানেন না, কী কারণে এভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, পারছেন না ব্যাটিং ধস ঠেকাতে! কোচ দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ না জানলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লজ্জার হারের পর জানিয়েছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পরিবর্তন আনা জরুরি।
শুক্রবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা যদি এর (ব্যাটিং ধস) কারণ জানতাম, তাহলে তো এটি হতো না। তবে আমাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে। সেটি হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা। মানে দেখুন, দুই ইনিংসে ২০ রানে ৪ ও ২৫ রানে ৫ উইকেট- এই অবস্থা থেকে আপনি টেস্ট জিততে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে নজর দিতে হবে এবং কিছুতে পরিবর্তন আনতে হবে। গত ছয় থেকে আট মাসে এটি অনেকবার হয়েছে। কিছুতো বদলাতে হবেই। সেটি ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন হোক কিংবা একাদশে দুই-একটি পরিবর্তন। আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
বিএসডি/ এমআর